Category: ব্লগর ব্লগর

  • অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ৪

    অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ৪

    বিমান থেকে নেমে দীর্ঘ সর্পিলাকার পথ পার হয়ে যখন ইমিগ্রেশনের লাইনে পৌঁছলাম, ততক্ষণে সেখানে গরুর হাঁটের মতই ভিড়। আহা সেই সময়, যখন মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পেছন থেকে ধাক্কা-ধাক্কি করতো, গলা খুসখুস করলে কাশি দিতে লজ্জা পেত না! ব্যাগ থেকে কাগজপত্র বের করে হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম।

  • অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ৩

    অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ৩

    মেঘের ফাঁক দিয়ে লন্ডন শহরের টুকরো টুকরো ছবি দেখতে দেখতেই বিমানের চাকা মাটি ছুঁয়ে কেঁপে উঠলো। যাত্রার এই শেষ এক ঘণ্টা যেন অনন্তকাল ধরেই চলছিল। মেঘলা মন খারাপ করা আবহাওয়া আর সাথে টিপটিপ বৃষ্টি। এক টার্মিনাল থেকে আরেক টার্মিনালে যাওয়ার শাটলের জন্য লম্বা লাইন।

  • অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ২

    অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ২

    সিকিউরিটি এরিয়া পার হয়ে বিশাল লাউঞ্জ এলাকায় এসেই মনে হলো হারিয়ে গেছি। আর সেই-যে ধাক্কাটা, লাগলো এখন। মনে হচ্ছিল কী নির্বোধের মত কাজ করছি। সব ছেড়ে এত দূর যাত্রার তো কোনও মানে হয় না। এরচেয়ে এখান থেকেই একটা ফিরতি ফ্লাইট ধরে ফিরে গেলে কেমন হয়?

  • অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ১

    অভাজনের বিলেত যাত্রা – পর্বঃ১

    দুই-তিন দিনের তাপ-দাহ শেষে হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির এক দুপুরে ঢাকা থেকে মার্কিন মুলুকের উদ্দেশ্যে যখন যাত্রা শুরু হল, তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি যে সব ছেড়ে কত দূরের পথে রওয়ানা হচ্ছি। তখন মাথায় একমাত্র চিন্তা, সামনে ৩০ ঘণ্টার লম্বা সফর! ধাক্কাটা প্রথম লাগবে মোটামুটি ৮-৯ ঘণ্টা পরে। সে ব্যাপারে পরে আসছি। মার্কিন মুলুকে যাত্রার প্রস্তুতি মূলত শুরু হয়েছিল এক মাস আগে থেকে। দূতাবাসের হাসিখুশি কর্মকর্তা যখন বলল আপনাকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, এক সপ্তাহ পরেই পাসপোর্ট হাতে পাবেন – তার পর থেকে। তার আগের যা কিছু সবই ঝুলন্ত। মোটামুটি প্রস্তুতি ছিল যে কর্মকর্তা আমাকে বিমুখ করবেন, আর আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচবো। কে চায় তার চেনা জগত থেকে বের হয়ে অচেনা রাস্তায় পা রাখতে?

  • একটি প্রেমের কবিতা

    একটি প্রেমের কবিতা

    আমি একটি প্রেমের কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম, কবিতাটা নিজে থেকেই হতাশা আর আক্ষেপের কথা বলতে থাকে। ঝকঝকে সাদা অফসেটে আমি ভালবাসার কথা লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কাগজটা হয়ে যায় ক্ষোভে নীল ঘাস মেঘ ফুল আকাশ সবই রক্তাক্ত লাল। আমি একটা কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম, কবিতায় প্রকৃতি থাকবে বৃষ্টি নদী পাখি আর তারারা থাকবে কিন্তু কবিতার শব্দগুলো অজান্তেই এলোমেলো তোমায় […]

  • লক্ষী মেয়েটা কে শুভকামনা

    লক্ষী মেয়েটা কে শুভকামনা

    মাঝে মাঝেই ক্লাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে সিম্মি দৌড় দিত দাবা ফেডারেশনে খেলার জন্য। কোনও কোনও দিন আমি যেতাম খেলা দেখতে। দুঃখের বিষয় যেদিনই আমি যেতাম সেদিনই ও হেরে যেত! আমি গেলেই সম্ভবত “কুফা” লেগে যেত। এই কারণে কিছুদিন পর থেকে সিম্মির খেলা থাকলে আমি দাবা ফেডারেশনের আশে পাশে যাওয়াই বন্ধ করে দিলাম। লক্ষী মেয়েটা বেশ সেলিব্রিটি খেলোয়াড় হয়ে গেছে। আর আমিময় আমার বেশ গর্ব লাগছে মেয়েটাকে আমার বন্ধু বলতে পেরে। অনেক শুভকামনা তোর জন্য।

  • Shimmi’s Power Save Mode

    Just a fun illustration from Pixton.

  • কেন হঠাৎ তুমি এলে?

    কেন হঠাৎ তুমি এলে?

    প্রচন্ড আনন্দ বা তীব্র মন খারাপের মুহূর্তে হঠাৎই মুঠোফোন হাতে নেই। পরিচিত সংখ্যাগুলো ছুয়ে দেই তোমার খোঁজে। মহাকালের মাঝে খুবই ক্ষুদ্র এই জীবনে আরও ক্ষুদ্রতম সময়ের জন্য কেনই বা এলে তুমি? চলেই যদি যাবে তবে স্বপ্ন দেখানোর কি কোনও প্রয়োজন ছিল? দুঃখ বা আনন্দের বোধগুলো দিন দিন ভোঁতা হয়ে আসে। শুধুই অবাক হই অপরিচিত অনুভূতিতে। […]

  • একদিন দিনশেষে তুমি আমার নও

    একদিন দিনশেষে তুমি আমার নও

    – হ্যালো! এখনো ঘুমাও নি? – নাহ। তোমাকে ছাড়া ঘুম আসে না। – পাগলী কোথাকার। এখন চোখ বন্ধ কর তো। আমি ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি। রাত বেড়ে চলে। একটা একটা করে মিনিট পার হয়ে ঘণ্টা। তোমার ভারী হয়ে আসা নিঃশ্বাসের শব্দ শুনি। জেগে থেকে স্বপ্ন বুনি। রাত গভীর হয়। তারাগুলো জ্বলজ্বল করে। মনে হয় হাত বাড়ালেই […]