ধর একটা নদী দিলাম তোমায়,
স্বচ্ছ জলে ছোট ছোট ঢেউ
আর দূরে মাঝির কণ্ঠে গান।
সেই নদীটার পাড় ভাঙ্গে না, শান্ত জলের ধারাকে ঢেকে দায় না কচুরিপানার দল।
সেই নদীটায় পূর্ণিমার ছায়া পড়ে তোমার মন খারাপের রাতে।।
অথবা ধর একটা ঘন বন দিলাম তোমায়,
চারিদিকে শুধুই সবুজ
আর অচেনা পাখির ডাক।
সেই বনে কোন সাপ নেই, নেই কোন চোরা শিকারি।
তোমার আনন্দে ঝলমল দিনে পাতার ফাঁকে শিষ দেয় দুষ্টু কোকিল।।
আর ধর যদি একটা ছোট্ট দ্বীপ দেই,
চারিদিকে শুধুই সবুজ শৈবাল
আর বালিয়াড়ি জুড়ে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি।
জলোচ্ছ্বাসের ভয় নেই সে দ্বীপে, নেই কোন জলদস্যু।
নারকেল গাছগুলো ছায়া হয়ে থাকে তোমার উদাস দুপুরে।।
অথবা শুধুই একটা কাশবন,
যতদূর চোখ যায় সাদা সাদা কাশফুলে
প্রজাপতি উড়ে বেরায়, লাল নীল হলুদ।
সেই কাশবনে কোন শতপদী নেই, নেই বখাটে ছেলের দল।
প্রজাপতির ডানায় ডানায় তোমার স্বপ্নরা উড়ে বেড়ায় সোনালী বিকেলে।। |
নাকি তোমায় আমি একটা নৌকা দেব,
লাল রঙের পাল তোলা
আর চাটাইয়ের ছইয়ের ভেতরে ছায়ার আঁকিবুঁকি?
ভেসে চলে দিগন্তের পথে, মানুষের পৃথিবীর সব অন্ধকারকে পিছনে ফেলে।
জ্যোৎস্না রাতে সেই নৌকায় বসে তুমি নদীর জলে ভাসিয়ে দেবে সব কষ্টগুলো।।
আচ্ছা, আমায় কি নেবে তোমার সাথে?
দুজনে বসে চাঁদের ছায়াটা দেখব নদীর জলে
অথবা পাশাপাশি হেটে যাব সবুজ বনের সরু পথে।
আচ্ছা তোমার দ্বীপের বালিয়াড়িতে যখন লাল কাঁকড়াগুলোকে তাড়া করবে,
আমায় করবে কি তোমার খেলার সাথী?
ধরবে কি আমার হাতটা
সোনালী বিকেলে প্রজাপতি স্বপ্নগুলোকে ভালোবেসে?
আমি কিন্তু তোমার সাথেই থাকব
কষ্টগুলোকে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার সময়।
তুমি আমায় নাও আর নাই নাও
বারবার ফিরে ফিরে তোমাকেই ভালোবাসব।। |
Leave a Reply